গমের উন্নত জাত
ভূমিকা
কৃষি নির্ভর বাংলাদেশের প্রধান খাদ্যশস্য হিসেবে ধানের চাষ অনাদিকাল থেকেই প্রচলিত আছে যে কারণে উন্নয়ণের ক্রমবিকাশের সাথে সাথে জাতি ধর্ম নির্বিশেষে ভাত এদেশের সর্বস্তরের মানুষের সস্তায়, সহজপ্রাপ্য ও প্রধান খাদ্য উপকরণ৷ এছাড়াও জলবায়ু, মাটির প্রকার ভেদ, চাষ পদ্ধতি, উৎপাদনের পরিমান, বহুমুখী ব্যবহার এবং লাভলোকশানসহ অন্যান্য কতিপয় বিষয় সার্বিক বিবেচনায় রেখে কোন কোন এলাকার জমিতে ধানের পরিবর্তে এক ফসলী হিসেবে গমের চাষ করা হয়৷ কারণ, ধান উৎপাদনের কোন কোন মৌসুমে বন্যা, খরা, রোগ‐বালাই অথবা অতিবৃষ্টির সম্ভাবনা থাকতে পারে। পক্ষান্তরে, গম চাষের মৌসুমে সেচ প্রয়োগের প্রয়োজন নেই এবং বন্যা, খরা বা অতিবৃষ্টি এবং রোগ‐বালাইয়ের তেমন সম্ভাবনা থাকে না৷ এ ছাড়াও উল্লেখ্য যে, ধানের চাউল থেকে মানুষ ভাত খেয়ে থাকে৷ অপরদিকে বার্ষিক বাজার মূল্য, পুষ্টিমান, মানুষ ও পশু-পাখীর খাদ্য সামগ্রী এবং সংশ্লিষ্ট শিল্পজাত উপকরণের ব্যবহারের বিষয় বিবেচনা করে এশিয়ার অন্যান্য দেশের মত বাংলাদেশেও শীত‐বসন্ত মৌসুমে প্রায় অধিকাংশ এলাকাতেই ধানের পাশাপাশি গমের চাষাবাদ হয়ে থাকে৷ খাদ্য ছাড়াও বহুমুখী ব্যবহারের অন্যতম প্রয়োজনে বেকারি উপকরণ, পশু-পাখির দানাদার খাদ্য এবং শিল্পজাত পণ্যের প্রধান উপকরণ হিসেবে গম বিশেষভাবে সমাদৃত৷ প্রাপ্ত তথ্য থেকে জানা গেছে যে, বর্তমানে প্রতি বছর প্রায় ১২.০ লক্ষ মেট্রিক টন গম আমাদের দেশে উৎপাদিত হয়৷ উল্লিখিত সুবিধা থাকা সত্ত্বেও গম চাষের মৌসুমে কোন কোন ক্ষেত্রে চাষ পদ্ধতি, রোগ‐বালাইয়ের প্রাদুর্ভাব, সার প্রয়োগ, কর্তন, মাড়াই এবং সংরক্ষণের পদ্ধতিতে অনেক ধরনের সমস্যা থাকতে পারে৷ এ ধরনের সমস্যা এড়ানো বা সমাধানের প্রয়োজনে কৃষক সমাজকে প্রযুক্তিগত প্রয়োগ-উপযোগী পরামর্শ প্রদানের প্রয়াসে প্রশ্নোত্তর পর্বের উপস্থাপনা করা হল:
সংশ্লিষ্ট তথ্য
১. ইনিয়া-৬৬ :৩.৫-৩.৭ টন/হেক্টর
২. নরটেনো-৬৭ :৩.২-৩.৫ টন/হেক্টর
৩. সোনালিকা :২.৩-২.৮ টন/হেক্টর
৪. টেনোরী -৭১ :৩.৪-৩.৫ টন/হেক্টর
৫. জুপাটিকো-৭৩ :৩.৪-৩.৫ টন/হেক্টর
৬. বলাকা :২.২-২.৮ টন/হেক্টর
৭. দোয়েল : ৩.৫-৪.০ টন/হেক্টর
৮. পবণ :৩.৭-৪.২ টন/হেক্টর
৯. আনন্দ :২.১-২.৬ টন/হেক্টর
১০. কাঞ্চণ :৩.৫-৪.৬ টন/হেক্টর
১১. বরকত :২.১-২.৮ টন/হেক্টর
১২. আকবর :৩.৫-৪.৫ টন/হেক্টর
১৩. অগ্রণী :৩.৫-৪.০ টন/হেক্টর
১৪. প্রতিভা :৩.৮-৪.৫ টন/হেক্টর
১৫. সৌরভ :৩.৫-৪.৫ টন/হেক্টর
১৬. গৌরব :৩.৬-৪.৮ টন/হেক্টর
১৭. বারিগম-২১ (শতাব্দী) :৩.৬-৫.০ টন/হেক্টর
১৮. বারিগম-২২ (সুফী) :৩.৬-৪.৮ টন/হেক্টর
১৯. বারিগম-২৩ (বিজয়) :৪.৩-৫.০ টন/হেক্টর
২০. বারিগম-২৪ (প্রদীপ) :৩.৫-৫.১ টন/হেক্টর
২১. বারিগম-২৫ :৪.০-৫.০ টন/হেক্টর
২২. বারিগম-২৬ :৪.০-৫.০ টন/হেক্টর
২৩. বারিগম-২৭ :৩.৫-৫.৪ টন/হেক্টর
২৪. বারিগম-২৮ :৪.০-৫.৫ টন/হেক্টর
২৫. বারিগম-২৯ :৪.০-৫.০ টন/হেক্টর
২৬. বারিগম-৩০ :৪.৫-৫.৫ টন/হেক্টর
বারি ট্রিটিক্যালের জাত