ব্রয়লার পালন
ভূমিকা
একমাত্র মাংস উৎপাদনের উদ্দেশ্যে পালিত দ্রুত দৈহিক বর্দ্ধনশীল নরম ও তুলতুলে মাংসল বক্ষবিশিষ্ট ৪-৫ সপ্তাহ বয়সের স্ত্রী অথবা পুরুষ মুরগী ব্রয়লার নামে পরিচিত। ব্রয়লারের খাদ্য রুপান্তর দক্ষতা সাধারণত ২:১ অনুপাতে হয়ে থাকে তবে এ অনুপাত পালন ব্যবস্থাপনা এবং অপরাপর সংশ্লিষ্ট বিষয়াদির উপর অনেকাংশেই নির্ভরশীল। ভিন্ন দুটি খাঁটি জাতের মোরগ-মুরগীর মধ্যে সংকরায়ণের মাধ্যমে ব্রয়লারের জাত(ভ্যারাইটি বা স্ট্রেইন হিসাবে পরিচিত) সৃষ্টি করা হয়। অতি দ্রুত মাত্রার দৈহিক বৃদ্ধির হার, খাদ্য রুপান্তর ক্ষমতা, মাংসের স্বাদ, নরম গুণ ও চমকপ্রদ রঙের বিষয়াদি সুবিবেচনায় রেখে দুটি খাঁটি ভিন্ন জাতের মোরগ-মুরগীর মধ্যে সংকরায়ণের মাধ্যমে ব্রয়লার ভ্যারাইটি বা স্ট্রেইন সৃষ্টি করা হয়। ১৯৬৪ সালে “এগ্স্ এ্যান্ড হেন” নামক পোল্ট্রি খামারে সর্ব প্রথম সাভারের কাশেমপুরে ব্রয়লার মুরগী উৎপাদন শুরু হয়। তৎপরবর্তীতে স্বাধীনতা যুদ্ধের পরে ১৯৮০ সনের দিকে বাংলাদেশ বিমানের অধীনস্থ বিমান পোল্ট্রী কমপ্লেক্স নামক বানিজ্যিক পোল্ট্রী খামারে একদিন বয়সী ব্রয়লার বাচ্চা বিক্রি করা শুরু হয় এবং একান্ত অভ্যন্তরীন চাহিদা মিটানোর প্রয়াসে ব্রয়লার পালন করা হয়। ১৯৯০ সনের দিকে ব্রয়লার শিল্প ব্যক্তি মালিকানাধীন শিল্প হিসেবে ফলপ্রসুভাবে প্রসার লাভ করে । বর্তমানে বাংলাদেশের সব জেলা ও উপজেলায় কমবেশী ব্রয়লার উৎপাদিত হয়ে থাকে। প্রতি বৎসর প্রতি খামারে পর্যায়ক্রমে ৫-৬ ব্যাচ ব্রয়লার পালন করা যেতে পারে। তুলনামূলক হিসাবে অতি অল্প সময়ে (২৮-৩২ দিনে) দৈহিক বৃদ্ধিপ্রাপ্ত হয়ে আশানুরূপ লাভ প্রদান করে বিধায় ব্রয়লারের পালন প্রযুক্তি অনেকটা দক্ষতার সাথে প্রয়োগ করা প্রয়োজন। এ সব কারণে ভাল জাতের ব্রয়লারের বৈশিষ্ট্য এবং পালন প্রযুক্তির প্রায়োগিক বিষয়সমূহ অতি সংক্ষেপে প্রশ্নোত্তর হিসাবে ব্রয়লার পালন অধ্যায়ের মাধ্যমে সুফলভোগী খামারীদের বোধগম্য হওয়ার জন্য আলোচনা করা হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট তথ্য
১. ব্রয়লার মোরগ-মুরগী বলতে কি বুঝায়?
• দ্রুতবর্ধনশীল বিশেষ জাতের মোরগ-মুরগীর বাচ্চা যা ৫-৬ সপ্তাহে প্রায় ১.৫ থেকে ২.০ কেজি ওজনপ্রাপ্ত হয় এবং যা প্রায় দুই কেজি খাদ্য খেয়ে ১ কেজি ওজনপ্রাপ্ত হয়। ব্রয়লারের বুকের মাংস নরম ও থলথলে।
২. আমাদের দেশে কখন ব্রয়লার মুরগীর চাষ শুরু হয়?
• ১৯৭৫ সন থেকে ১৯৮০ সনের মধ্যে আস্তে আস্তে আমাদের দেশে ব্রয়লার পরিচিত হয় এবং উৎপাদন শুরু হয়।
৩. ব্রয়লারের মাংসের কি কি গুণ আছে?
• সকল পুষ্টিতে ভরা সব স্তরের মানুষের অতি সুস্বাদু ও হজমযোগ্য সস্তা মূল্যের মাংস।
৪. কোন ধরণের খামারী ব্রয়লার খামার করতে পারে?
• বর্তমানে সকল শ্রেণীর পেশাজীবির মানুষ ব্রয়লার পালার সামান্য জ্ঞান লাভ করে ব্রয়লার খামার করতে পারে।
৫. ব্রয়লার খামার পারিবারিক ও সামাজিক উন্নয়ণে কি কি ভূমিকা রাখে?
• পারিবারিক আয় বাড়ায়, কর্মের সুযোগ সৃষ্টি করে ও বেকার যুবকদের সামাজিক মর্যাদা বাড়ায়।
৬. ব্রয়লার খামার স্থাপন করার উপকারীতা কি?
• কম সময়ে, কম জায়গায়, সামান্য দক্ষ জনবলে, সারা বছর কম ব্যয়ে অধিক পরিমাণ মাংস উৎপাদন করে লাভবান হওয়া যায়। জীবন্ত বা জবাই করে ব্রয়লার বিক্রি করা যায়।
৭. মূলধন ফেরৎ পাওয়া সহজ হয় কি?
• মাত্র ৩৫-৪০ দিনে মূলধন ফেরৎ পাওয়া যায় যদি কোন কারণে ব্রয়লার মরে না যায়।
৮. ব্রয়লারের জাত কিভাবে সৃষ্টি করা যায়?
• দুই বা ততোধিক বিশুদ্ধ জাতের মধ্য থেকে ছাটাই-বাছাই ও শংকরায়ণের মাধ্যমে ব্রয়লারের জাত সৃষ্টি করা যায়।
৯. ব্রয়লার মুরগির জাতের মূল বৈশিষ্ট্য কি?
• একমাত্র মাংস উৎপাদনের প্রয়োজনে দ্রুতবর্ধনশীল জাতের ব্রয়লার সৃষ্টি হয়।
১০. বর্তমানে ব্রয়লারের কি কি জাত পাওয়া যায়?
• প্রায় ৪০ জাতের ব্রয়লার পাওয়া যায় যাদের মধ্যে বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য জাত হলো: সেভার স্টার ব্রো, ভেনকব, হাবার্ড হাইইল্ড, সেভার মিনি ব্রো, এভিয়ান, কব্ ১০০, সেভারট্রাপিক ব্রো, হাবার্ড ক্লাসিক, কব্ ৫০০, ইসা- ডেভেট ই-৭৫৭, সি এন্ড এম ক্লাসিক, হাইসেক্স-জি, ইসা-এমপিকে-৩০, হাবার্ড হাই ওয়াই, রস-৩০৮, আরবার একরস, কাছিলা হাবচিকস্, হারচিক হাইব্রো, লোমান মিট, ইন্ডিয়ান রিভার।
১১. ব্রয়লার জাত সৃষ্টির জন্য কি ধরণের মোরগ-মুরগী ব্যবহার করা হয়?
•সাধারণত ভারী জাতের মোরগ-মুরগীর মধ্য থেকে যেমন কর্নিশ, প্রাইমাউথ রস, রোড আইল্যান্ড রেড (আর আই অর) নিউহ্যাম্পশায়ার, অস্ট্রালপ, আসিল ইত্যাদি জাত ব্যবহার করা যায়।
১২. কোন জাতের শংকরায়ণে ভালো রঙের ব্রয়লার সৃষ্টি হয়?
•সাদা প্লাইমাউথ রকের সাথে সাদা কর্নিশের শংকরায়ণ করলে ভালো সাদা রঙ্গের ব্রয়লারের সৃষ্টি হয়।
১৩. কোনটি বেশি উপযোগী?
•শংকর জাত বিশুদ্ধ জাত অপেক্ষা অনেকটা ভালো।
১৪. বিশেষ উপজাত (স্ট্রেইন) কিভাবে তৈরি করা হয়?
•ভারী জাতের মোরগ-মুরগীর মধ্যে বহি:প্রজনন ও অন্ত:প্রজনন দ্বারা উপজাত তৈরি করা হয়।
১৫. ব্রয়লারের জাত সৃষ্টির ক্ষেত্রে প্রজনন কৌশলে ব্যবহৃত বিশুদ্ধ জাতের মোরগ-মুরগীর কি কি গুণাগুণ বিবেচনায় রাখা হয়?
•দৌহিক বর্ধণের হার, বক্ষের প্রসারতা, পালকের গঠন, পরিনত বয়সে যথাযথ ওজন, খাদ্য রূপান্তর ক্ষমতা এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা।
১৬. একই বয়সে শুরু এবং একই সাথে খালি (অল-ইন-অল-আউট) বলতে কি বুঝায়?
•একই বয়সের বাচ্চা নিয়ে ব্রয়লারের ব্যাচ শুরু এবং বাজারজাতকরণের ক্ষেত্রে একই দিনে একই সাথে বিক্রি করে ঘর খালি করাকে বুঝায়।
১৭. অল-ইন-অল-আউট পদ্ধতির আসল উপকারিতা কি?
•রোগ দমনের সুবিধার্থে সব পরিষ্কার করে আবার দু’সপ্তাহ পরে ব্যাচ শুরু করা স্বাস্থ্যসম্মত হয়।
১৮. বহুবিধ পদ্ধতিতে ব্রয়লার পালন বলতে কি বুঝায়?
•একই ব্রয়লার খামারে ভিন্ন সময়ে, আলাদা আলাদা করে, ভিন্ন ব্যাচে ব্রয়লার পালন পদ্ধতিকে বহুবিধ পদ্ধতি বলে।
১৯. বহুবিধ পদ্ধতিতে ব্রয়লার পালন বলতে কি বুঝায়?
•ভালো দরে ব্রয়লার বিক্রি করে আশানুরূপ লাভ করা সম্ভব তবে জৈব-নিরাপত্তার সাথেই প্রতিটি খামারের জন্য আলাদা আলাদা কর্মচারী খাদ্যসহ রাখতে হবে।
২০. ব্রয়লারের জন্য বাসস্থানের প্রয়োজন হয় কেন?
•রোদ, বৃষ্টি, ঝড়, ঠান্ডা, গরম ও বন্যপ্রাণী থেকে নিরাপদে রাখার জন্য বাসস্থানের অব্শ্যই দরকার আছে। এছাড়া বাসস্থানে সুস্থভাবে সকল পালন ব্যবস্থা গ্রহণ করা যায়।
২১. সাধারণত কি কি উপায়ে ব্রয়লার পালা যায়?
•পুরু বিছানা, মাচা এবং খাঁচা পদ্ধতিতে ব্রয়লার পালা যায়।
২২. খাচা পদ্ধতিতে কখন ব্রয়লার রাখা হয়?
•বিক্রয় কেন্দ্রে রাখার জন্য ব্রয়লার খাঁচায় রাখা হয়।
২৩. সকল পালন পদ্ধতির সুবিধা ও অসুবিধা কি কি?
•পোল্ট্রির অন্যান্য বাসস্থানের ক্ষেত্রে উল্লেখ করা হয়েছে।
২৪. ব্রয়লার বাচ্চা সংগ্রহের বেলায় কি কি বিষয় মেনে চলতে হবে?
•বাচ্চার উৎসের খোঁজ খবর নিতে হবে, পিতামাতা রোগ-মুক্ত হতে হবে, উন্নত মানের হতে হবে, ওজন ৪০-৪২ গ্রাম হতে হবে, রোগ-মুক্ত, নাভি শুকনো ও পরিষ্কার হতে হবে, শরীর সতেজ, উজ্জ্বল হতে হবে ও চিঁ চিঁ শব্ধ করবে।
২৫. ব্রয়লার বাচ্চার দ্রুতবর্ধনের লক্ষণ কি?
•পাঁচ সপ্তাহ বয়সে প্রায় ২.৫ কেজি ওজনের হবে।
২৬. ভালো ব্রয়লার চেনার উপায় কি?
•বুক নরম ও থলথলে থাকবে ও বুকের পরিধি হাতের তালুর সমান হবে।
২৭. বেশি লাভ করার প্রয়োজনে কি কি করতে হবে?
•বাচ্চা এবং খাদ্য খরচ ও মৃত্যুর হার যত কমানো যাবে ব্রয়লার পালনে তত বেশি লাভ হবে।
২৮. বাচ্চার শরীরের পালক কেমন হতে হবে?
•দ্রুতবর্ধনশীল পালক শরীর ঢেকে দিলে দ্রুত দৈহিক বৃদ্ধি হবে এবং দেখতে আকর্ষণীয় উজ্জ্বল হতে হবে।
২৯. কোন রঙের ব্রয়লার ক্রেতার কাছে পছন্দনীয়?
•হলুদ ও লালচে রঙের ব্রয়লার যার চামড়ার নিচে চর্বি রয়েছে তা ক্রেতার কাছে পছন্দনীয়।
৩০. ব্রয়লার ব্যবসার মূল চাবিকাঠি কি?
•সার্বিক এবং সঠিক ব্যবস্থাপনা।
৩১. ব্রয়লার ব্যবস্থাপনা বলতে কি বুঝায়?
•জনবল, অর্থ, কাঁচামাল, প্রযুক্তির ব্যবহার ও নিয়ন্ত্রণ ইত্যাদির সঠিক প্রয়োগ পদ্ধতিকে ব্যবস্থাপনা বলে।
৩২. ব্রয়লার ব্যবস্থাপনায় কি কি বিষয়ের প্রতি খেয়াল রাখতে হবে?
•বাসস্থান, বাচ্চা সংগ্রহ, খাদ্য ও খাওয়ানোর পদ্ধতি, বাচ্চা পালন, পরিবেশ নিয়ন্ত্রণ, জীবনিরাপত্তা, আলো-বাতাস নিয়ন্ত্রণ, খাঁচা ও বিছানা, বাজারজাতকরণ ইত্যাদি।
৩৩. ব্রুডার বলতে কি বুঝায়?
•যে তাপাধারের নিচে তাপ ও আলো রক্ষা করে বাচ্চাকে আরাম-আয়েশে রাখা হয় তাকে ব্রুডার বলে।
৩৪. ব্রুডিং কত দিন করতে হয়?
•শীতকালে দু’সপ্তাহ আর গরমে তিন সপ্তাহ, অতি অল্প সময়ে (৫ সপ্তাহ) বাজারজাত করা যায় বিধায় ব্রুডিং-এর সময় কম বেশি হতে পারে।
৩৫. ব্রুডিং কোথায় করা হয়?
•বাসস্থানে পর্যাপ্ত জায়গা থাকলে আলাদা স্থানে ব্রুডিং করা উচিৎ অন্যথায় যথাযথ পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা বজায় রেখে একই ঘরে ব্রুডিং করা যাবে। এক্ষেত্রে ব্রুডিং থেকে বাজারজাতকরণ পর্যন্ত ব্রয়লার একই ঘরে পালন করা যোতে পারে।
৩৬. খোলামেলা ঘরের সুবিধা ও অসুবিধা কি কি?
•মুক্ত আলো বাতাস চলাচল করতে পারে, দূর্গন্ধ কম হয় তবে সহজে ঝড় হাওয়া ও বৃষ্টির পানি ও বন্যপাখি ঢুকতে পারে। এ ক্ষেত্রে সহজে উঠানো নামানোর ব্যবস্থা রাখা উত্তম।
৩৭. পরিবেশ নিয়ন্ত্রিত ঘর বলতে কি বুঝায়?
•যে ঘরের চারপাশ আবদ্ধ থাকে, কার্বন ডাই-অক্সইড ও এমোনিয়া গ্যাস বের হওয়ার জন্য আলাদা পাখা থাকে তাকে পরিবেশ নিয়ন্ত্রিত ঘর বলে।
৩৮. বিছানার জিনিস কি কি হতে পারে?
•ধানের তুষ, ভুট্টার ছোবড়া, কাঠের গুঁড়া, বালু, টুকরা খড় ইত্যাদি বিছানার জিনিস।
৩৯. পরিবেশ নিয়ন্ত্রিত ঘরের আর কি কি সুবিধা আছে?
•বাচ্চার দৈহিক বৃদ্ধি আশানুরূপ, রোগবালাই কম, মৃত্যুর হার কম, খাদ্য রূপান্তর বেশি ও যান্ত্রিক পরিচর্যার ব্যবস্থা সহজ হয়।
৪০. প্রতি বাচ্চার জন্য ঘরে সর্বোচ্চ কি পরিমাণ জায়গা লাগে?
•পঞ্চম সপ্তাহে ১ বর্গফুট আর শুরুতে আধা বর্গফুট জায়গা লাগে।
৪১. বাচ্চার বয়স বাড়ার সাথে সাথে কি কি করতে হয়?
•চিক গার্ড মারতে হবে, প্রতি ১০০ ব্রয়রারের জন্যে ৯.৫-১০.১ বর্গমিটার জায়গা রাখতে হবে।
৪২. জায়গা সঠিক না হলে কি হবে?
•ওজন কমে যায়, মরে বেশি, ঠুকরা-ঠুকরি করে, পালক কম হয়, খাদ্য রূপান্তর কমে যায়, খাদ্য অপচয় বাড়ে, আলো বাতাস কম হওয়াতে শ্বাস-প্রশ্বাসজনিত সমস্যা হয়।
৪৩. বাচ্চা পালতে কি কি সরঞ্জাম লাগে?
•চিক গার্ড, হোভার, লিটার, থার্মোমিটার, খাবার পাত্র, পানির পাত্র, বাচ্চার খাবার যন্ত্র, তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রক, ঠোঁট কাটার মেশিন ইত্যাদি।
৪৪. চিক গার্ড ও হোভার বলতে কি বুঝায়?
•বাচ্চাকে এক জায়গায় রাখার বেষ্টনীকে বলে চিক গার্ড আর গ্রোভার মানে তাপাধার।
৪৫. লিটার কি?
•ঘরের ভিতর আরাম, শুষ্কতা ও তাপ নিয়ন্ত্রণের বিছানা।
৪৭. বাচ্চার বেষ্টনীর আয়তন কি পরিমাণ হতে পারে?
•প্রতি ৫০০ বাচ্চার জন্য ৮ ফুট ব্যাসের একটি বেষ্টনীর দরকার।
৪৮. হোভার কি ও কি দ্বারা তৈরি করা যায়?
•টিনের তৈরি গোলাকার ঢাকনা যাতে তাপ সরবরাহকারী বাল্ব লাগানো থাকে। হোভার ঘরের চালের সাথে চিক গার্ডের মাঝামাঝি ঝুলানো থাকে।
৪৯. হোভারের আকার কি হওয়া দরকার?
•প্রতি ৫০০ বাচ্চার জন্য ৮ ফুট ব্যাসের একটি হোভার দরকার।
৫০. বিছানা কতটুকু পুরু হওয়া দরকার?
•প্রায় ৫-৭৫ সে.মি.।
৫১. ভালো বিছানার বৈশিষ্ট্য কি কি?
•ভালো বিছানা নরম ও আরামদায়ক, ওজনে হালকা, হাতের চাপে জমাট বাধবে না, তাড়াতাড়ি শুকাবে, শোষণ ক্ষমতা বেশি ও তাপ পরিবহন ক্ষমতা কম ।
৫২. বিছানা কত দিন পর পর বদলাতে হবে?
•এক ব্যাচের জন্য একবার বিছানা দেয়া দরকার তবে পুরাতন বিছানা পরিশোধণের মাধ্যমে পুণরায় ব্যবহার করা যেতে পারে। বিছানা জমাট বাধতে দেয়া যাবে না।
৫৩. বিছানা বা লিটার কি উপায়ে পরিশোধণ করা যাবে?
•প্রতি ঘণফুট বিছানায় ১ কেজি চুন বা সুপার ফসফেট বা ১.৯ লিটার ফসফরিক এসিড মিশিয়ে এক সপ্তাহ রাখতে হবে।
৫৪. থার্মোমিটার কেন রাখা হয়?
•তাপমাত্রা মাপার জন্য রাখা হয়।
৫৫. তাপমাত্রা ঠিক আছে কি না তা বুঝা যাবে কিভাবে?
•কম তাপে বাচ্চা অনেক জড় হয়ে থাকবে আর তাপ বেশি হলে বাচ্চা অস্থির অবস্থায় এলোপাথারিভাবে চিক গার্ডের ভিতরে ছুটাছুটি করবে, বেশি বেশি পানি পান করবে।
৫৬. খাবার পাত্র কি রকম হবে?
•প্রথম ২-৩ দিন কাগজের উপর খাবার ছিটিয়ে দিতে হবে, পরবর্তীতে বাচ্চা ও বাড়ন্ত অবস্থায় প্রতিটির জন্য যথাক্রমে ২” ও ২.৫” জায়গা লাগবে।
৫৭. কি রকম ধারণ ক্ষমতাসম্পন্ন পানির পাত্র থাকা দরকার?
•প্লাস্টিক বা মাটির তৈরি অথবা টিনের তৈরি গোলাকার পাত্র ভালো। অনেক সময় স্বয়ংক্রিয় পানির পাত্র উত্তম। প্রতি বাচ্চার জন্য ১” স্থান থাকা দরকার।
৫৮. বাচ্চার ওজন নেয়া হয় কেন?
•বাচ্চার ওজন কত হারে বাড়ে তা জানার জন্য প্রতি সপ্তাহে ভালো ব্যালেন্সে ওজন নেয়া দরকার। খামারীর সুবিধার্থে যেকোন দাঁড়িপাল্লায় ওজন নিতে পারবেন।
৫৯. কিভাবে তাপ নিয়ন্ত্রণ করতে হবে?
• প্রথম সপ্তাহের শুরুতে ৯৫ ডিগ্রি ফা. এবং প্রতি সপ্তাহে ৫ ডিগ্রি ফা. হারে কমিয়ে ৭০ ডিগ্রি ফা. পর্যন্ত হবে।
৬০. ঠোঁট কাটা বলতে কি বুঝায় এবং কেন ঠোট কাটা হয়?
•একদিন বয়সে অথবা ৬ দিন বয়সে ঠোঁটের ১/৪ অংশ মেশিনে কেটে দিলে ঠুকরাঠুকরির সম্ভাবনা থাকে না।
৬১. পুরুষ আর স্ত্রী বাচ্চা এক সাথে রাখা যায় কি?
•বর্তমানে স্ত্রী ও পুরুষ বাচ্চা হ্যাচারী থেকেই আলাদা পাওয়া যায় আর যদি না পাওয়া যায় তবে ২-২.৫ সপ্তাহ বয়সে আলাদা করে পালন করলে ভালে ফল পাওয়া যায়।
৬২. খাদ্য রূপান্তর ক্ষমতা বলতে বি বুঝায়?
•কতটুকু খাবার খেলে কতটুকু ওজনপ্রাপ্ত হয় তার অনুপাতের মাধ্যমকে খাদ্য রূপান্তর ক্ষমতা বা দক্ষতা বলা হয়। ৫ কেজি খাবার খেয়ে ২.৫ কেজি দৈহিক ওজন হলে খাদ্য রূপান্তর দক্ষতা হয় ২:১।
৬৩. খাদ্য রূপান্তর দক্ষতা দেখার জন্য কি করা দরকার?
•প্রতি সপ্তাহে বাচ্চার গৃহীত খাবার ও দৈহিক জেনে নেয়া দরকার।
৬৪. খাদ্য রূপান্তর দক্ষতা কেন হিসাব করা হয়?
•খাদ্য খরচের উপর লাভ নির্ভরশীল বিধায় দৈহিক বৃদ্ধির অনুপাত হিসাব করা হয়।
৬৫. ব্রয়লার ঘরে আলো বাতাস নিয়ন্ত্রণের দরকার কি?
•প্রয়োজনীয় অক্সিজেন সরবরাহ, কার্বন-ডাই-অক্সাইড কমানো, তাপমাত্রা স্বাভাবিক রাখা, ধুলাবালি, আর্দ্রতা ও অ্যামোনিয়া গ্যাস দূর করা ও রোগজীবাণুর বংশ বৃদ্ধি কমানো।
৬৬. ব্রয়লার কি পরিমাণ তাপ ওআর্দ্রতা সহ্য করতে পারে?
•ডিমপাড়া মুরগীর তুলনায় ব্রয়লার মুরগীর তাপ ও আর্দ্রতা সহ্য ক্ষমতা অনেকটা কম। তাই ঘরে যথোপযুক্ত আলোবাতাস চলাচল থাকতে হবে।
৬৭. পরিমিত তাপ, আলোবাতাস ও আর্দ্রতা রক্ষার জন্য কি নিয়ম মানতে হবে?
•যেকোন বিশেষঞ্জ অথবা বাংলা বা ইংরেজীতে লেখা নির্দেশিকা অনুসরণ করা যেতে পারে।
৬৮. ব্রয়লার ঘরে আরামদায়ক তাপমাত্রা কতটুকু?
•সাধারণত ২২ ডিগ্রি সে.।
৬৯. আপেক্ষিক আর্দ্রতা বলতে কি বুঝায়?
•বাতাসে যতটুকু পানি আছে তার যেটুকু বাষ্পাকারে বিদ্যমান থাকে তাকে আপেক্ষিক আর্দ্রতা বলা হয় যা শতকরা হিসাবে প্রকাশ করা হয়।
৭০. ব্রয়লার ঘরে আরামদায়ক আর্দ্রতা কতটুকু থাকা উচিৎ?
•৬০-৭০%
৭১. আর্দ্রতা নিয়ন্ত্রণের জন্য কি করা দরকার?
•ঘরের ভিতর ভেজা কাপড় বা চট টানানো অথবা চালের উপরে যেকোনভাবে পানি ছিটানো যেতে পারে।
৭২. ঘরের ভিতরের আর্দ্রতা নিয়ন্ত্রণে না থাকলে কি কি অসুবিধা হয়?
•লিটার ভেজা থাকে, ব্রয়লারের হাড়ে পালক গজায় কম, দৈহিক বৃদ্ধি কম হয় এবং রোগ-জীবাণু বৃদ্ধি পায়।
৭৩. ব্রয়লারের খাদ্য কি রকম হওয়া উচিৎ?
•সুস্বাদু, সুষম, সহজে হজমযোগ্য ও সাশ্রয়ী মূল্যের খাদ্য হতে হবে।
৭৪. ব্রয়লারকে কখন খাবার দিতে হয়?
•দিনে তিনবার তবে এমনভাবে খাবার দিতে হবে যাতে সব সময় খাবার পাত্রে খাবার থকে যাকে এ্যাডলিবিটাম পদ্ধতি বলে।
৭৫. ব্রয়লারের খাদ্য গ্রহণ কিসের উপর নির্ভরশীল?
•বাচ্চার জাত, বয়স, বৃদ্ধির হার, খাদ্যের গুণ ও আবহাওয়ার উপর ব্রয়লারের খাদ্য গ্রহণ নির্ভরশীল।
৭৬. ব্রয়লারের খাদ্যে কতটুকু আমিষ আর বিপাকীয় শক্তি থাকতে হবে?
•সাধারণত প্রতি কেজি হিসাবে ২৩% আমিষ এবং ৩১০০ কিলোক্যালোরী শক্তি থাকা প্রয়োজন তবে বয়স বাড়ার সাথে সাথে আমিষ কমিয়ে শক্তি (২২% ও ৩২ কিলোক্যালরী) রাখা উচিৎ।বাচ্চা উৎপাদনকারীর ও হ্যাচারীর নির্দেশণা মানা উত্তম।
৭৭. ব্রয়লারের মাংসের রং আকর্ষণীয় করতে কি করা উচিৎ?
•ভূট্টা-মিশ্রিত খাবার খাওয়ানো যেতে পারে।
৭৮. ব্রয়লারের খাদ্য কত প্রকার হয়?
•বাচ্চা (স্টার্টার ১-৩ সপ্তাহ), বাড়ন্ত (৩-৪ সপ্তাহ) ও ফিনিশার (৪-৫ সপ্তাহ) খাদ্য।
৭৯. ব্রয়লারের খাবারে কত ভাগ দানা থাকতে হবে?
•সর্বোচ্চ ৬০% (গম অথবা ভূট্টা) থাকতে পারে।
৮০. খাদ্যে আমিষ ও শক্তির পরিমাণ মেটাতে কোন কোন সামগ্রী মেশাতে হবে?
•সয়াবিন মিল ও বাজারেপ্রা্প্ত বানিজ্যিকভাবে তৈরী প্রোটিন কনসেনট্রেট এবং সয়াবিন তৈল।
৮১. এসব সামগ্রী কিভাবে মেশানো যাবে?
•সয়াবিন ২৪%, প্রোটিন কনসেনট্রেট ৭.৫% আর সয়াবিন তৈল ১.০-১.৫% হারে মেশানো যাবে।
৮২. খাদ্যে মাছের গুঁড়া মেশালে কি হবে?
•৭-৮% হারে মেশানো যাবে তবে অতিমাত্রায় মেশালে মাংসে মাছের গন্ধ আসতে পারে ও রোগজীবাণু বৃদ্ধি পেতে পারে।
৮৩. সয়াবিন তেল বেশি হলে কি হবে?
•খাদ্য আঁঠালো হবে, ব্রয়লার খাবে কম, জীবাণু বৃদ্ধি হতে পারে।
৮৪. ব্রয়লারকে এ্যান্টিবায়োটিক বা প্রবায়োটিক বা হরমোন খাওয়ানো ঠিক হবে কি?
•স্বাস্থ্যরক্ষা কিংবা দৈহিক বৃদ্ধির সহায়ক হিসাবে বিশেষজ্ঞের পরামর্শে খাওয়ানো যাবে তবে বাজারজাতকরণের কমপক্ষে ৫ দিন আগে তা বন্ধ করতে হবে, কোন অবস্থাতেই জনস্বাস্থ্য রক্ষার্থে হরমোন খাওয়ানো যাবে না।
৮৫. কোন কোন অবস্থায় ব্রয়লারে বিষক্রিয়া দেখা দিতে পারে?
•ভেজা স্যাঁতস্যাঁতে খাদ্যসামগ্রী (গম, ভূট্টা, খৈল ইত্যাদি) যা অনেকদিন গুদামে খাকলে বিষ-সৃষ্টিকারী পদার্থ আফলাটক্সিন তৈরি হতে পারে।
৮৬. ব্রয়লার খামারে রোগ-প্রতিরোধ করতে হলে কি কি করতে হবে?
•রোগমুক্ত প্যারেন্ট স্টকের (পিতা-মাতা) বাচ্চা, রোগমুক্ত বাচ্চা সংগ্রহ ও পূর্ণাঙ্গ জীবনিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
৮৭. ভ্যাকসিন কি?
•বাংলায় ভ্যাকসিন বলা হয় রোগ-প্রতিরোধক বা টিকা যা শরীরে রোগ-প্রতিরোধক এ্যান্টিজেন ও এ্যান্টিবডি তৈরি করে।
৮৮. ভ্যাক্সিন বা টিকা দিতে হয় কখন?
•বাচ্চা ফুটার পরপর ও রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা দিলে শুধুমাত্র সুস্থ্ মোরগ-মুরগীকে ভ্যাকসিন দিতে হয় । এছাড়া রোগ দেখা না দিলেও নিয়মিত সুস্থ্ ব্রয়লারকে কর্মসূচি অনুযায়ী টিকা দিতে হয়।
৮৯. টিকার বোস্টার ডোজ কাকে বলে?
•রোগ-প্রতিরোধ ক্ষমতা সৃষ্টির নিশ্চয়তা প্রদানের জন্য নির্ধারিত সময়ে বোস্টার ডোজ দেয়া হয়।
৯০. ব্রয়লারকে কি কি কর্মসূচিতে টিকা প্রদান করা হয়?
•বাচ্চার জাত-সৃষ্টিকারী সংস্থা এবং হ্যাচারী কর্তৃপক্ষের নির্দেশমত ভিন্ন ভিন্ন ৫-৬ ধরণের টিকাপ্রদান কর্মসূচি হতে পারে তবে ব্রয়লারের পালনকাল (জীবনকাল) ডিমপাড়া মুরগীর তুলনায় অনেক কম হওয়ায় ব্রয়লারকে অনেক কম সংখ্যক টিকা প্রদান করতে হয়।
৯১. পাঁচ সপ্তাহ বয়স পর্যন্ত ব্রয়লারকে সাধারণত কোন কোন রোগ-প্রতিরোধের টিকা প্রদান করা হয়?
•রানীক্ষেত, আইবি, গামবোরো, ককসিডিওসিস ও ম্যারেকস রোগের টিকা ফলপ্রসু সূচি অনুসরণ করে প্রদান করতে হবে।
৯২. টিকা প্রদান সব সময় কার্যকরী হয় কি?
•টিকার গুণাগুণ নষ্ট হলে এবং অনিয়মে প্রদান করলে টিকা কার্যকর হয় না।
৯৩. ব্রয়লার বাজারজাতকরণে কি কি প্রস্তুতি নিতে হবে?
•বিক্রয়ের বয়স নির্ধারণ করতে হবে, বিক্রয় কেন্দ্র/বাজার ঠিক করতে হবে, বিক্রয় মূল্য হিসাব করতে হবে, পরিবহনের ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে, দৈহিক বর্ধনের এ্যান্টিবায়োটিক ৫ দিন আগে বন্ধ করতে হবে, পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি খাওয়াতে হবে।
৯৪. বর্তমানে ৫ সপ্তাহের পর ব্রয়লার বিক্রি করলে কি ক্ষতি হতে পারে?
•সাধারণত ৪ সপ্তাহের পরে ব্রয়লারের খাদ্য রূপান্তর দক্ষতা কমতে থাকে, কারণ তারপরে খাদ্য গ্রহণের তুলনায় দৈহিক ওজন বৃদ্ধির হার আস্তে আস্তে কমতে থাকে।
৯৫. কোন কোন ভিত্তিতে ব্রয়লার বিক্রি করা যেতে পারে?
•বাজার চাহিদা এবং ক্রেতার ধরণ বিবেচনায় রেখে খুচরা, পাইকারী এবং চুক্তি-ভিত্তিতে (ডিপার্টমেন্টাল স্টোরে) ব্রয়লার বিক্রি হয়।
৯৬. কোন কোন অবস্থায় ব্রয়লার বিক্রি হয়ে থাকে?
•জীবন্ত অথবা জবাইকৃত প্রসেসড্ (বাজার অথবা বিক্রয় কেন্দ্রে) অবস্থায় ব্রয়লার বিক্রি হয়।
৯৭. কোন ওজনের (আকার) ব্রয়লারে বেশি মাংস হয়?
•ছোট আকারের ব্রয়লারে তুলনামূলকভাবে বেশি ভোগযোগ্য মাংস হয়।
৯৮. কি কারণে কম ওজনের ব্রয়লারে অপেক্ষাকৃত বেশি মাংস হয়?
•কারণ বড় ব্রয়লারে নাড়িভূড়ি এবং পালকের পরিমাণ দৈহিক ওজনের শতকরা হারে বেশি থাকে।
৯৯. ব্রয়লারের দৈহিক ওজনের কত ভাগ খাওয়ারযোগ্য হতে পারে?
•প্রায় ৭০- ৭৫%।
১০০. এই পরিমাণের কম বেশি হয় কখন?
•ব্রয়লারের জাতভেদে, বছরের সময়ভেদে, বিক্রয়ের পূর্ব সময়ে জোরপূর্বক অতিমাত্রায় খাদ্য খাওয়ালে এবং দৈহিক বৃদ্ধি (মাংসালো) কম/বেশি হলে।
১০১. ব্রয়লার বাজারজাতকরণের সমস্যা কি কি?
•উপযুক্ত পরিবহন ব্যবস্থা তেমন নেই, আজ অবধি অনেক হাট বাজারে, শহরে, বন্দরে ব্রয়লার বিক্রির স্বাস্থ্যসম্মত তেমন কোন নির্ধারিত স্থান বরাদ্দ নেই। তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণের ব্যবস্থা না খাকায় পরিবহনের সময় ব্রয়লারের মৃত্যুর হার বেশি হয় এবং অনেক সময় খোলা আকাশের নিচে ব্রয়লার বিক্রি হয়।
১০২. ব্রয়লার জবাই করার কত সময় আগে খাবার খাওয়ানো বন্ধ করতে হবে?
•জবাই করার ঠিক আগের রাতের শেষ সময়ে।
১০৩. জবাই করার পর কিভাবে অতি সহজে পালক ছাড়ানো যায়?
•টগবগে ফুটানো পানিতে ৩৫-৫০ সেকেন্ড ডুবিয়ে হাতে অথবা মেশিনে অতি সহজে পালক ছাড়ানো যায়।
১০৪. জীবন্ত ব্রয়লার পরিবহনের ক্ষেত্রে সময় কতটুকু হলে ভালো হয়?
•কোন অবস্থাতেই যেন দুই ঘন্টার বেশি সময় না লাগে।
১০৫. অধিক সময় লাগলে কি করতে হবে?
•পরিবহনকালে ব্রয়লারের নাগালে অবশ্যই বরফের ঠান্ডা পানি রাখতে হবে।
১০৬. বরফের ঠান্ডা পানি না খাওয়ালে কি সমস্যা হবে?
•ব্রয়লারর মাংস সহজে ও অনেক কম সময়েই পচন ধরতে পারে।
১০৭. ড্রেসিং করার সময় মাংসের রং কেমন থাকতে হবে?
•লাল হতে দেয়া যাবে না তাহলে বাজার দর কমে যাবে।
১০৮. ড্রেসড ও ব্রয়লার ধুয়ার জন্য কি ব্যবস্থা করতে হবে?
•প্লাস্টিক বা বাঁশের বা বেতের তৈরী চালনীতে পানি অপসারণ করতে হবে।
১০৯. বানিজ্যিকভিত্তিতে অধিক সংখ্যক ব্রয়লার ড্রেসিং করতে হলে কি করতে হবে?
•যান্ত্রিক পদ্ধতিতে মেশিন ব্যবহার করতে হবে।
১১০. ব্রয়লার খামার লাভজনক করতে কি কি সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে?
•নিম্নমানের বাচ্চা পালন ও খাদ্য থাওয়ানো বন্ধ করতে হবে, কম খাদ্য রূপান্তর দক্ষতাসম্পন্ন ব্রয়লার পালন করা যাবে না, সরঞ্জাম সঠিক হতে হবে, রোগের প্রাদুর্ভাব ও ভুল ব্যবস্থাপনা কমাতে হবে, বৈরী পরিবেশ ও আবহাওয়ার প্রতি খেয়াল রাখতে হবে।
১১১. বর্তমানে ৫০০ ব্রয়লার থেকে প্রথম ব্যাচে চলতি খরচ মিটিয়ে কত টাকা লাভ হতে পারে?
•বর্তমান বাজার মূল্য ও ব্যয়ভার বিবেচনায় প্রায় ২৫০০০ টাকা।
১১২. বর্তমানে বাংলাদেশে ব্রয়লার পালনে কি কি লক্ষণীয় সমস্যা দেখা দেয়?