বিবিধ কৃষি তথ্য


ভূমিকা


জমি নির্বাচন, জমি তৈরি, শস্যের ধরণ ও নির্ধারণ, চাষ পদ্ধতি, বীজ সংগ্রহ, বীজতলা তৈরি, চারা উৎপাদন, বীজ বপন, চারা রোপন, মাটির ধরণ ও বাছাই, সেচ প্রদান, সার প্রয়োগ, আগাছা নিধন বা বাছাই, ক্ষতিকর পোকামাকড় নিধন, রোগবালাই সনাক্ত, প্রতিরোধ ও প্রতিকার, প্রযোজন সাপেক্ষে চারার ঘনত্ব কমানো, প্রাকৃতিক দূর্যোগ মোকাবেলা; গাছ, ফুল, ফল ও ফসলের পরিপক্কতা নিরুপন, ফসল তোলা/কাঁটা, মাড়াই, প্রক্রিয়াজাত করা, সংরক্ষণ এবং সর্বোপরি ভোগের উপযোগী বা সামগ্রীতে রূপান্তর ও পরবর্তীতে চাষাবাদের বীজ সংরক্ষণ প্রভূতি কারণে বর্তমানে আধুনিক প্রযুক্তির সফল সার্বিক প্রয়োগের কোন বিকল্প নেই । সকল পর্যায়ের চাষীরাই মানসিক ও কায়িক পরিশ্রম, জনবল ও প্রযুক্তি প্রয়োগ, অর্থ ব্যয়, বীজ, সার, চারা ও জমি ব্যবহারের মাধ্যমে সুফল হিসাবে আর্থিকভাবে লাভবান হওয়ার জন্য আশানুরূপ ফলন পেতে আশা পোষন করেন । উল্লিখিত বিষয়সমূহ সার্বিক বিবেচনায় রেখে আমাদের দেশে সম্ভাব্য ফসল উৎপাদন ও পশুপাখি পালনের ক্ষেত্রে আধুনিক প্রযুক্তির সফল ও লাগসই প্রয়োগের প্রযোজনে “কৃষিতত্ত্বের সাধারণ তথ্য” শীর্ষক প্রশ্নোত্তর পর্বে আলোকপাত করা হল:


সংশ্লিষ্ট তথ্য


১. বেগুণের ফল ও ডগা-ছিদ্রকারী পোকা দমনের জন্য কি ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে?

•সেক্স-ফেরোমনের ট্র্যাপ ব্যবহার করা দরকার।

২. লাউ কুমড়ার ফ্রুট ফ্লাই বা ফলের মাছি পোকা দমনের উপায় কি?

•মিথাইল ইউজেনল সেক্স-ফেরোমন ফাঁদ ও বিষটোপের সমণ্বিত ব্যবহার করা দরকার।

৩. ধানের মাজরা পোকা দমনের জন্য কি ব্যবহার করতে হবে?

•ফুরাডান/কার্বোফুরাডানের ব্যবহার করা উচিত।

৪. লাউ, কুমড়া ও শশার ফল-পচা রোগ দমনের উপায় কি?

•মেনকোজেব + মেটালিক্স (৭২% ডব্লিউপি) অথবা কার্বেনডাজিমের মিশ্রণ ব্যবহার করা যেতে পারে।

৫. কিভাবে বীজ-বাহিত রোগ দমন করা যায়?

•থিরাম/কার্বেনডাজিম দ্বারা বীজ শোধন করে নিতে হবে।

৬. মরিচের ডগা ও ফল-পচা রোগ দমনের উপায় কি?

•কার্বেনডাজিম কিংবা যেকোন সিস্টেমিক ছত্রাকনাশকের ব্যবহার।

৭. পাটের বিছা পোকা দমনের উপায় কি?

•যেকোন সিস্টেমিক কীটনাশক যথা ল্যামড়া-সাইহেলোথ্রিন, রিপকর্ড বা সাইফারমেথ্রিনের ব্যবহার করা যেতে পারে।

৮. ঢেঁড়সের পাতা হলদে-মোজাইক রঙের হয়ে গেলে এটা কোন রোগের লক্ষণ?

•এটা ঢেঁড়সের মোজাইক রোগের লক্ষণ, পাতায় হলুদ ও সবুজের ছোপ ছোপ রঙের দাগ দেখা দেয়।

৯. ঢেঁড়সের মোজাইক রোগের বাহক কি এবং কিভাবে তা দমন করা যাবে?

•এক প্রকার সাদা মাছি এ রোগের বাহক এবং এ রোগ দমনের জন্য ইমিডাক্লোরোপ্রিড (টিটো, হটশক) সাতদিন পর পর ব্যবহার করতে হবে।

১০. পেঁপের আকৃতি আঁকাবাঁকা কেন হয় এবং এর প্রতিকার কি?

•মাটিতে বোরনের অভাবের জন্য পেঁপের চেহারা বক্রাকারের হয়। চারা রোপনের সময় গাছ প্রতি ৫-১০ গ্রাম বোরন সার ব্যবহার করা উচিত অথবা বাড়ন্ত গাছে প্রতি ১ লিটার পানিতে ১ গ্রাম বোরনের মিশ্রণ স্প্রে করা দরকার।

১১. মরিচের পাতা কোঁকড়ানো রোগ দমনের উপায় কি?

•ভার্টিমেক (এবামেক্টিন) + কার্বেনডাজিমের ব্যবহার করা যেতে পারে।

১২. গোলআলুর আর্লি এবং লেইট ব্লাইট রোগ দমনের উপায় কি?

•আর্লি ব্লাইট দমনের জন্য মেনকোজেব এবং লেইট ব্লাইট দমনের জন্য মেনকোজেব+ মেটালিক্স (৭২% ডব্লিউপি)-এর মিশ্রণ ব্যবহার করা উচিত।

১৩. সরিষার ক্ষতিকর পোকা কোনটি এবং কিভাবে এটি দমন সম্ভব?

•সরিষার ক্ষতিকর পোকা হল জাবপোকা যা ম্যালাথিয়ন বা সাইফারমেথ্রিন স্প্রে করে দমন করা সম্ভব।

১৪. কোন পোকার দ্বারা পেঁপের মোজাইক রোগ ছড়ায়?

•জাব পোকা।

১৫. গাছের শাখা প্রশাখা উপরের দিক থেকে শুকিয়ে মরে যাওয়ার কারণ কি?

•এটি একটি রোগের লক্ষণ যার নাম ডাইব্যাক।

১৬. উদ্ভিদের রোগ দমনের মূল নীতি কি?

•রোগ-জীবাণু বর্জন করা।

১৭. প্ল্যান্ট কোয়ারেন্টাইন আইনের দরকার কেন?

•বিদেশ থেকে আমদানীকৃত উদ্ভিদের সাথে যাতে কোন প্রকার রোগ জীবাণু আমাদের দেশে অনুপ্রবেশ করতে না পারে তার জন্য এটার দরকার ।

১৮. ধানের ব্লাস্ট রোগের বাহক কি?

•ধানের বীজ।

১৯. ধানের ব্লাস্ট রোগের লক্ষণ কোথায় দেখা যায়?

•ধানের পাতায়, গিটে ও শীষে।

২০. খোলপচা রোগে ধানের কি ক্ষতি হয়?

•ধান চিটা ও অপুষ্ট হয়।

২১. আমের হপার, স্কেল ও মিলিবাগ পোকা দমনের কাজে কি করতে হবে?

•সাইফারমেথ্রিন, সিমবুস, রিপকর্ড কিংবা ক্যারাটে কীটনাশক @১ মি.লি./লি., এক্রোভেট ও থিওভেট @২ গ্রাম/লি., ডেসিস ২.৫ ইসি @০.৫ মি.লি./লি. প্রয়োগ করা দরকার।

২২. ধানক্ষেতে বাদামী গাছ ফড়িং আক্রমণের লক্ষণ কি?

•ধানক্ষেতে আক্রান্ত স্থান পুড়ে ঝলসে-যাওয়া রূপ ধারণ করে।

২৩. লেবুর পাতায় সুড়ঙ্গ করে পাতায় পোকার আক্রমণের প্রতিকার কি?

•এটি লিফ মাইনর পোকা; এডমায়ার @০.৫ মি.লি./লি.; রগর/রক্সিয়ন/পারফেকথিয়ন/কিনালাক্স @২ মি.লি./লি., ১০ দিন পর পর ২-৩ বার প্রয়োগ করা দরকার ।

২৪. লেবুর কচি পাতা ও ডগা পোকায় নষ্ট করে ফেলে- এর প্রতিকার কি?

•সুমিথিউন ৫০ ইসি/লিবাসিট ৫ ইসি, @২ মি.লি./লি. প্রয়োগ করা দরকার।

২৫. লিচুর পাতা কুঁচকে যায়, পাতার নিচে ভেলভেট কাপড়ের মত আস্তরণ দেখা যায় কেন?

•এটি লিচুর মাইটজনিত সমস্যা, ভারটিমেক্স @১ মি.লি./লি., ব্যাভিস্টিন @২ মি.লি./লি. প্রয়োগ করা দরকার।

২৬. লেবুর গায়ে দাঁদের মত দেখা যায়, লেবু কালো হয়ে যায়- এর প্রতিাকার কি?

•এটি লেবুর ক্যাংকার, একতারা ৫ এসজি/ সুমিথিয়ন @১ মি.লি./লি., ব্যাভিস্টিন @২ গ্রাম /লি., সালফার/থিওভিট @০.২% প্রয়োগ করা দরকার এবং আগাছা পরিস্কার করতে হবে।

২৭. আম ও লিচুর পাতায় ফোস্কা পড়ার প্রতিকার কি?

•রগর/রক্সিয়ন-@২ মি.লি./লি. প্রয়োগ করা দরকার।

২৮. বিভিন্ন প্রকার ফল ও তরকারীর পাতায় পাউডারের ন্যায় সাদা জিনিস দেখা যায়-এটি কোন রোগ এবং এর প্রতিকার কি?

•এটি পাউডারী মিলডিউ, কুমুলাক্স/সালফোলাক্স/থিওভিট অথবা ক্যালিক্সিন/বেনলেটের @১গ্রাম/লি., টিল্ট @০.৫ মি.লি./লি. প্রয়োগ করা দরকার।

২৯. ডালিম কালো হয়ে যায় কেন এবং এর প্রতিকার কি?

•এটি ছত্রাকজনিত রোগ, ইন্ডোফিল @২.৫ গ্রাম/লি., নোইন @২ মি.লি./লি., ব্যাভিস্টিন @১ গ্রাম/লি. স্প্রে করতে হবে এবং থলে দ্বারা ফল ঢেকে দিতে হবে।

৩০. নারিকেলের পাতা হলুদাভ ও দাগযুক্ত হয়েছে- এর প্রতিকার কি?

•নোইন/ব্যাভিস্টিন/কারবেন্ডাজিম @২ মি.লি./লি. ১৫ দিন পর পর ২-৩ বার প্রয়োগ করা দরকার।

৩১. আম ও নারিকেল চারা উঁইপোকার আক্রমণ থেকে বাঁচানোর উপায় কি?

•ডারসবান ২০ ইসি/পাইরিফস @৩ মি.লি./লি. গাছের গোড়ার মাটিতে প্রয়োগ করতে হবে।

৩২. ফলদ গাছের ডাইব্যাক প্রতিকারের উপায় কি?

•মরা ডাল কেটে গাছ পরিস্কার করে দিতে হবে।

৩৩. আম, পেয়ারা ও অনান্য ফলদ গাছের ভেজিটেটিভ মেলফরমেশন হলে এর প্রতিকার কি?

•ন্যাপথালিন এসিটিক এসিড (এনএএ) হরমোন @২০০ পিপিএম স্প্রে করতে হবে।

৩৪. আমের গায়ে গভীর কাল দাগের সৃষ্টি হয়-এর প্রতিকার কি?

•এটি একটি ছত্রাকঘটিত রোগ (এনথ্রাকনোজ) প্রতিকার:- টিল্ট ২৫০ ইসি, @০.৫ মি.লি./লি., ইন্ডোফিল এম-৪৫ @২ গ্রাম/লি. স্প্রে করতে হবে।

৩৫. পেঁপের গায়ে কাল গর্তের সৃষ্টি হয়- এর প্রতিকার কি?

•নোইন ৫০- ডব্লিউপি, @২ গ্রাম/লি. ব্যাভিস্টিন অথবা কেডাজিম @২ মি.লি./লি. স্প্রে করতে হবে।

৩৬. পেয়ারার গায়ে কাল গর্তের ন্যায় দাগ হয় এর প্রতিকার কি?

•টিল্ট(@০.৫ মি.লি./লি./ইন্ডোফিল(@২ গ্রাম/লি./নোইন ৫০-ডব্লিউপি (@০.৫ মি.লি./লি.) স্প্রে করতে হবে।

৩৭. আম ও কুলের পাতা-ছিদ্রকারী ও নতুন পাতা-কর্তণকারী পোকা দমনের উপায় কি?

•এটি ছ্যাফার বিটলের কাজ। সুমিথিয়ন, রিপকর্ড, সিমবুস @২মি.লি./লি. স্প্রে করতে হবে।

৩৮. আম ও পেয়ারার পাতার কিনারা শুকিয়ে পাতা পোড়ার ন্যায় দেখা যায়-এর প্রতিকার কি?

•পটাশিয়ামের অভাবে এমনটি হয়। ৫% পটাশিয়াম সালফেট নতুন গজানো পাতায় ১৫ দিন পরপর ৪/৫ বার স্প্রে করতে হবে ও সুষম সার ব্যবহার করতে হবে।

৩৯. লাউয়ের বানিজ্যিক চাষের জন্য উপযুক্ত সময় কখন?

•ভাদ্র-আশ্বিণ মাস লাউয়ের বানিজ্যিক চাষের উপযুক্ত সময়।

৪০. সবজি চাষের জন্য কি ধরণের জমি প্রয়োজন?

•দোঁ-আশ ও বেলে দোঁ-আশ মাটি এবং উঁচুভূমি।

৪১. টমেটোর কোন জাত বানিজ্যিক চাষের জন্য ভাল?

•রতন, মানিক, বারি-হাইব্রিড-৪ ও লাল তীরের মিন্টু।

৪২. করলার কোন জাত চাষ করা উচিত?

•হাইব্রিড-টিয়া এবং গজ করলা।

৪৩. রোপা আমন ধানের চারার দূরত্ব কতটুকু হওয়া উচিত?

•রোপা আমন ধানের চারার দূরত্ব ২৫ সে.মি. × ১৫ সে.মি. হওয়া দরকার।

৪৪. আমাদের দেশে ফসলের কোন পুষ্টি উপাদানের ঘাটতি সবচেয়ে বেশি ও তার প্রতিকার কি?

•নাইট্রোজেন । ইউরিয়া সার ব্যবহারে নাইট্রোজেনের ঘাটতি মিটানো যায়।

৪৫. বীজ গুদামজাতকরণের ক্ষেত্রে আর্দ্রতা কত পরিমাণে থাকা উচিত?

•১০-১২%।

৪৬. আউশ ধান রোপণের উপযুক্ত সময় কোনটি?

•এপ্রিল (বৈশাখ) মাসে।

৪৭. আউশের প্রধান আগাছা কোনটি?

•শ্যামা, এটি দেখতে ঠিক ধান গাছের মতই।

৪৮. ধানের শীষের শতকরা কতভাগ পাকলে সেটি কাটার উপযোগী?

•৮০%।

৪৯. রোপা আমন ধানের চারা তৈরির উপযুক্ত সময় কোনটি?

•জুন-জুলাই মাস।

৫০. বোরো ধানের চারা তৈরির জন্য কখন বীজ বপন করতে হবে?

•কার্তিক–অগ্রহায়ণ মাস।

৫১. গম চাষের জন্য প্রতি হেক্টরে কি পরিমাণ বীজ দরকার?

•ছিটিয়ে চাষ করার ক্ষেত্রে হেক্টর প্রতি ১৩০-১৪০ কেজি এবং সারিবদ্ধভাবে গম চাষের জন্য হেক্টর প্রতি ১২০-১৩০ কেজি বীজ দরকার।

৫২. ভূট্টা চাষের জন্য কোন ধরণের জমি উপযোগী?

•দোঁ-আশ ও বেলে দোঁ-আশ মাটি।

৫৩. ভূট্টা চাষে হেক্টর প্রতি বীজের পরিমাণ কত?

•হেক্টর প্রতি ২৫-৩০ কেজি ভূট্টার বীজ।

৫৪. মসুর ডালের বীজ বপনের উপযুক্ত সময় কোনটি?

•অক্টোবর-নভেম্বর মাস।

৫৫. বীজ আখের বয়স কত হওয়া উচিত?

•৮-৯ মাস।

৫৬. আখ চাষের জন্য হেক্টর প্রতি বীজ হার কত?

•প্রতি হেক্টরে জমিতে ৩০-৩৫ হাজর কাটিং লাগাতে হবে।

৫৭. পাট চাষের জন্য জমিতে কয়টি চাষ দিতে হবে?

•৫-৬ বার চাষ ও মই দিয়ে মাটি ঝুরঝুরা করে দিতে হবে।

৫৮. পাট কাটার উপযুক্ত সময় কখন?

•পাট গাছে ৫০% ফুলের কুঁড়ি দেখা দিলে।

৫৯. পানের বংশ বিস্তার কিভাবে করা হয়?

•পানের লতানো গাছের কাটিং দ্বারা।

৬০. ডাল-জাতীয় ফসলের পরিপক্ক হওয়ার লক্ষণ কি?

•গাছ শুকিয়ে যেতে শুরু করলে।

৬১. কোন এলাকায় মুগ ফসলের চাষ বেশি হয়।

•বরিশাল ও পটুয়াখালী জেলাতে মুগ ফসলের চাষ বেশি হয়।

৬২. সুদান ঘাস চাষের বিশেষত্ব কি?

•দানা ও ঘাস দুটোই পাওয়া যায় বলে এটা লাভজনক।

৬৩. জমিতে ফসল বোনা বা রোপনের কতদিন পূর্বে সবুজ সার মেশাতে হবে?

•ফসল বোনা বা রোপনের ১৫-৩০ দিন পূর্বে জমিতে সবুজ সার মেশাতে হবে।

৬৪. ধইঞ্চা লাগানোর উপযুক্ত সময় কোনটি?

•বর্ষাকালে ধইঞ্চা লাগাতে হবে।

৬৫. মাটিকে লবণমুক্ত করার জন্য কি ব্যবহার করা উচিৎ?

•জিপসাম সার।

৬৬. ড্রাম-সিডার কি কাজে ব্যবহার করা হয়?

•সারিবদ্ধভাবে বীজ বপনের কাজে এর ব্যবহার হয়।

৬৭. লীফ কালার চার্ট ব্যবহার করে কোন সারের মাত্রা নির্ণয় করা হয়?

•নাইট্রোজেন অথবা ইউরিয়া সারের।

৬৮. এক বিঘা জমিতে কি পরিমাণ বোরো ধানের বীজ লাগবে?

•হাইব্রিড ধানের ২ কেজি এবং অন্যান্য ধানের ৫-৭ কেজি বীজ লাগবে।

৬৯. আমের ভাল ফলন পেতে কি করণীয়?

•মুকুল আসার পূর্বে, ফুল ফোঁটার পূর্বে এবং ফল মটর দানার আকৃতি ধারণ করলে যেকোন সিস্টেমিক কীটনাশক ও ছত্রাকনাশক ৩-৪ বার স্প্রে করা দরকার।

৭০. ফুলকপির হাইব্রিড জাত কি কি?

•স্নো-হোয়াইট, সামার বল ও হোয়াইট কুইন।

৭১. মূলার চাষের সময় ও জাত কি কি?

•ভাদ্র-কার্তিক মাস, জাতগুলো হল তাসকিসান, রকি-৪৫ ও হাইব্রিড।

৭২. পেয়ারার ফল বৃদ্ধির উপায় কি?

•ডালপালা ছাটানো ও ডাল বাকানো পদ্ধতি গ্রহণ করার মাধ্যমে।

৭৩. আম বাগানে গাছের দূরত্ব কত হওয়া উচিত?

•আম্রপালির ক্ষেত্রে (২০×১৫) ফুট, ল্যাংড়া ও ফজলীর (২৫×২৫) ফুট দূরত্বে (গ্রাফটিং চারার ক্ষেত্রে) আমের চারা লাগাতে হবে।

৭৪. ফল বাগানে সাথী ফসল হিসাবে কোন ফসল চাষ করা যায়?

•সবজি: লালশাক, মূলা, মুগ, পেঁপে, আদা ও হলুদ ইত্যাদি।

৭৫. সম্পূরক সেচ প্রয়োজন কোন মৌসুমে?

•গ্রীষ্মকালে।

৭৬. ধান চাষের জন্য কোন পদ্ধতির সেচ বেশি উপযোগী?

•চেক বেসিন পদ্ধতি।

৭৭. আলু ও সবুজ-জাতীয় ফসল কত ঘন্টা দাঁড়ানো পানি সহ্য করতে পারে?

•১-২ ঘন্টা।

৭৮. লবণাক্ততার প্রধান কারণ কি?

•মাটির উপরের স্তরে বিভিন্ন বহিঃ উৎস থেকে লবণ জমা হয়।

৭৯. কোন ধরণের মাটি পুনরুদ্ধারে ভাল পানির পরিবর্তে নোনা পানি প্রয়োগ করা যুক্তিযুক্ত?

•সোডিক মাটি পুনরুদ্ধারে পানির পরিবর্তে নোনা পানি প্রয়োগ করা দরকার।

৮০. লবণাক্ততাজনিত সমস্যায় কি হয়।

•গাছের বৃদ্ধি ব্যাহত হয় এবং ফলন কম হয়।

৮১. দ্রবীভূত লবণের পরিমাণ প্রতি লিটার দ্রবণে কত গ্রাম হলে তাকে অতিলবণাক্ততা বলে?

•প্রতি লিটার দ্রবণে ৬-১২ গ্রাম দ্রবীভূত লবণ থাকলে তাকে অতিলবণাক্ততা বলে।

৮২. বাংলাদেশে কোন পদ্ধতিতে বেশি সেচ দেওয়া হয়?

•বাংলাদেশে প্লাবণ পদ্ধতিতে সেচ দেওয়া হয়।

৮৩. গ্রীষ্মকালে সবজির জমিতে কতদিন পরপর সেচ দিতে হবে।

•৫-৭ দিন পরপর।

৮৪. কাদাময় জমি চাষ করার উপযোগী যন্ত্রের নাম কি?

•হাইড্রোটিলার দিয়ে কাদাময় জমি চাষ করা যায়।

৮৫. বাংলাদেশে ধান মাড়াইয়ের কাজে কোন ধরণের যন্ত্র বেশি ব্যবহৃত হয়।

•প্যাডেল থ্রেশার বা পা-চালিত মাড়াই যন্ত্র।

৮৬. ফসলের কোন পর্যাযে সেচের বা পানির চাহিদা বেশি থাকে?

•ফসলের বাড়ন্ত এবং ফুল-ফল পর্যায়ে।

৮৭. দিনের কোন সময়ে সেচ দেওয়া উচিত?

•সকালে অথবা বিকাল বেলায়।

৮৮. কোন মাটির পানি ধারণ ক্ষমতা কম?

•বেলে মাটির পানি ধারণ ক্ষমতা কম।

৮৯. কোন ফসল জলাবদ্ধতা সহ্য করতে পারে না?

• পেঁপে ও অন্যান্য সবজি জলাবদ্ধতা সহ্য করতে পারে না।

৯০. বাংলাদেশে কোন মৌসুমে সেচ ছাড়া ফসল উৎপাদন সম্ভব নয়?

•বাংলাদেশে শীতকালে সেচ ছাড়া ফসল উৎপাদন সম্ভব নয়।

৯১. গোড়ায় পানি জমলে গাছের কোন জৈবিক কাজ ব্যাহত হয়?

•গাছের শ্বসন কাজে ব্যাঘাত ঘটে।

৯২. বৃষ্টি ও সেচের পর মাটির উপরে আস্তরণ পড়লে ফসলের কি ক্ষতি হয়?

•মাটিতে বাতাস ও পানি সঞ্চালনের কাজে ব্যাঘাত হয়।

৯৩. ধানের জমিতে পানি ধরে রাখতে হবে কেন?

•ইউরিয়ার 'এমোনিয়াম নাইট্রেট' তৈরিতে সেটি সাহায্য করে।

৯৪. আলু চাষে কয়টি সেচ দরকার?

•আলু চাষে ৩-৪টি সেচের দরকার।

৯৫. ধানের জমিতে শেষ সেচ দিতে হয় কখন?

•ধানের শীষের ৫০-৬০ ভাগ পরিপক্কতা পর্যন্ত।