বাংলাদেশে উচ্চফলনশীল ভূট্টার জাত
ভূমিকা
আমাদের দেশে খাদ্যশস্য এবং ব্যবহারিক গুরুত্ব বিবেচনায় ধান ও গমের পরেই নতুন সংযোজন হিসেবে ভূট্টার অবস্থান৷ উল্লেখ করা যেতে পারে যে দেশ স্বাধীন হওয়ার এক দশক আগে অর্থাৎ ষাটের দশকের মাঝামাঝিতে খাদ্যাভ্যাস পরিবর্তন করানোর নতুন প্রয়াসে বিদেশ থেকে আমদানীকৃত/অনুদানকৃত ভূট্টার পাউডার প্রাইমারী স্কুলের ছাত্রছাত্রীদের মাঝে কাগজের ব্যাগে বা খোলা অবস্থায় বিতরন করা হতো৷ পরবর্তীতে খাদ্য ছাড়াও বহুমুখী ব্যবহারের অন্যতম প্রয়োজনে বেকারি উপকরণ, পশু-পাখির দানাদার খাদ্য ও কাঁচা ঘাস এবং শিল্পজাত উপকরণ হিসেবে ভূট্টা বিশেষভাবে সমাদৃত৷ এ সব কারণে চাষাবাদের প্রয়োগ-উপযোগী প্রাপ্ত সুবিধা বিবেচনায় রেখে দেশী কিংবা বিদেশী আধুনিক পদ্ধতিতে আমাদের দেশের অনেক এলাকায় ধানের পরিবর্তে গমের বিকল্প হিসেবে ভূট্টার চাষ করা হচ্ছে৷ ২০১৫ সনে প্রায় ১৫.৫ লক্ষ মেট্রিক টন ভূট্টা উৎপাদিত হয়েছে৷বর্তমানে ভূট্টা আমদানী করার প্রয়োজন হচ্ছে না৷ তবে খামারী পর্যায়ে ভূট্টা চাষের প্রযুক্তির প্রায়োগিক সুফল আশানুরূপভাবে পাওয়া যায়নি৷ উল্লেখ্য যে, বিভিন্ন প্রযুক্তির জানা‐অজানা ব্যবহারিক সমস্যার কারণে ভূট্টার ফলন অস্বাবিকভাবে কম হতে পারে৷ এসব সমস্যার সমাধান প্রদানের জন্য ভূট্টার জাতবিষয়ক প্রশ্নোত্তর পর্বের আলোকপাত করা হল:
সংশ্লিষ্ট তথ্য